দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে দেশটির নর্থ ওয়েস্ট প্রদেশের মাফিকিং নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ইমন আহমেদ ও আব্দুর রহমান। তাদের দেশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে উপজেলা বলে জানা গেছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল হোসেনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মাফিকিং-এর স্থানীয় বাংলাদেশিরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা বাংলাদেশিদের মধ্যে দুই গ্রুপ নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাকবিতণ্ডা ও ঝামেলায় লিপ্ত হয়ে আসছিল। তারা ধারণা করছেন, প্রতিপক্ষ গ্রুপ সন্ত্রাসী ভাড়া করে এই দলের প্রতিশোধ নিয়েছে।
এর আগে, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মিজানুর রহমান (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দেশটির নামপুলা প্রদেশের সালাওয়া নামক এলাকায় মুখে পলিথিন পেচানো অবস্থায় মিজানুরের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তিনি ওই এলাকায় ব্যবসা করে আসছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিরা নিজেদের মধ্যে মাফিয়া সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে একে অপরকে হামলা, অপহরণ ও খুনের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দল, গোষ্ঠী ও অঞ্চলভিত্তিক সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।
দেশটিতে বাংলাদেশিরা পাকিস্তানি ও স্থানীয় অপরাধী চক্রগুলোর সঙ্গে মিলে মাফিয়া চক্র পরিচালনা করছে জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপটাউন, ডারবানসহ বড় শহরগুলোর পাশাপাশি ফ্রি স্টেট, পুমালাংগা, ডেবিটন, মিডেলবার্গের মতো ছোট এলাকায় প্রবাসীরা সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশটির জোহানেসবার্গে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে লিমন, আক্তার, নিরু নামের তিন বাংলাদেশি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হয়।
এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় গত একমাসেরও কম সময়ে তিন বাংলাদেশি খুনের ঘটনা ঘটে। এই খুনগুলোর সাথে কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশিদের নাম জড়িয়ে গেলেও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে কেউ ভূমিকা নিচ্ছে না।