বিদ্যুৎ গ্রিডে আগুনের ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি সিলেট মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায়। এখনো অন্ধকারে রয়েছে অনেক এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে পানির অভাবে হাহাকার চলছে এসব এলাকায়। আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন জানান, কুমারগাঁওয়ের বিদ্যুৎ গ্রিডে আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জরুরি সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সিলেট মহানগর, জেলা ও আশপাশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৭৫ ভাগ সরবরাহ লাইন সচল হয়েছে। এর ফলে সিলেট মহানগর, জেলা ও আশপাশ জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রায় ৩২ থেকে ৪৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত পুনরায় সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। বাকি সংযোগ দিতে যতদ্রুত সম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
প্রকৌশলী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি মেরামত ও পুনঃস্থাপন শেষে বুধবার সন্ধ্যা থেকে আমরা সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সবরাহ শুরু করেছি। এখনো আমাদের কয়েক শতাধিক কর্মী গ্রিড লাইনে মেরামত কাজ করছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে টানা দুইদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন সবাই।
বৃহস্পতিবার রাত কিংবা আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে বাকি এলাকায় বিদ্যুৎব্যবস্থা পুরো সচল করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ গ্রিডে ভয়াবহ আগুন লাগে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে সিলেট মহানগরসহ বিভাগের বেশ কয়েকটি অঞ্চল। এরপর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রে চার শতাধিক কর্মী টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করার পর বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। পরে রাতে নগরী ও আশপাশ আরও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজন মিটাতে লোকজন বালতি, ড্রাম কিংবা কলসি নিয়ে ছুটে চলছেন পানির সন্ধানে। যেখানে টিউবওয়েল আছে সেখানেই ভিড় করছেন মানুষ। অনেকে পুকুরের পানি এনে জরুরি কাজ সারেন।