প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে স্কুল খুলে দিয়ে বাচ্চাদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না। তিনি বলেন, এখানে স্কুল খোলার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে স্কুল খুলে তারা আবার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে সংসদে দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এর আগে বিরোধীদলের উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার যৌক্তিতা নেই মন্তব্য করে তা খুলে দেয়ার প্রস্তাব করেন।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হওয়ায় ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় স্কুল খুলে বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারি না।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে ছেলেমেয়েগুলো, শিক্ষকরা কিংবা গার্জিয়ানের স্কুলে যাবে তাদের কী হবে? করোনা একটা সংক্রামক ব্যাধি। এটার চিকিৎসা এখনও বের হয়নি। তারপরও আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। মানুষ ভালো হচ্ছে। সেখানে আমরা এই ঝুঁকিটা ছেলেমেয়েদের জন্য কেন নেব? হ্যাঁ এটা ঠিক স্কুলে না যেতে পেরে বাচ্চাদেরও কষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন সুখী পরিবার বানাতে গিয়ে অনেকের ঘরেই একটি কিংবা দুটি বাচ্চা। একান্নবর্তী পরিবার এখন আর নেই। তাই বাচ্চাদের থাকতে খুবই কষ্ট হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারপরও তাদের তো আমরা মৃত্যুঝুঁকিতে ঠেলে দিতে পারি না। সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অটোপ্রমোশনের বিষয়ে বলব- আমাদের দেশে কিন্তু সেমিস্টার সিস্টেম আগে ছিল না। আমি প্রথমবার সরকারে এসে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করি। সারাবছর তারা যে পরীক্ষা দিয়েছে তারই ভিত্তিতে একটা রেজাল্ট তারা পাবে। এটা ইংল্যান্ডেও দিয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই দিয়েছে। এতে খুব বেশি একটা ক্ষতি হবে তা নয়। একদিন বসে পরীক্ষা দিয়েই শুধু সেটাই পাস, আর সারাবছর পরীক্ষা দিয়েছে পাস করে গেল সেটা পাস নয়, এটা তো হতে পারে না। সারাবছরের পরীক্ষা ভিত্তিতে যদি প্রমোশনটা দেয়া যায় তাহলে তো আমার মনে হয় মেধার পরীক্ষা হয়।