স্কুল-কলেজে ৮০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

এনটিআরসিএ
ফাইল ছবি

সারাদেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। এসব পদের তালিকা সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আটকে আছে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে আপিল করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সংশ্লিষ্ট মাধ্যম থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

এনটিআরসিএ জানায়, সারাদেশের এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

অনলাইন ও টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে সংগৃহীত এ তালিকায় দেখা গেছে, অনুমোদিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬০টি পদ শূন্য পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার পদ খালি। এটি মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। নিবন্ধিত প্রার্থীদের ওই তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে এমপিও নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন ১৩তম নিবন্ধিত প্রার্থীদের সরাসরি নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়।

দুটি সিদ্ধান্ত ভিন্ন হওয়ায় সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তালিকা চূড়ান্ত হলেও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রার্থীরা আদালতে প্রায় ৪০০টি মামলা করে এনটিআরসিএ’র নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এ থেকে মুক্তি পেতে নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানান, প্রথম থেকে ১৫তম নিবন্ধিত মেধাতালিকায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার ১২৭ জন রয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৮২১ জনের বয়স ৩৫ বছর পার হওয়ায় তারা নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন না। ৩৫ বছরের মধ্যে আরও দুই লাখ ৮৮ হাজার নিবন্ধিত প্রার্থী রয়েছেন। তাদের অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগ পেয়েছেন। মামলা জটিলতায় অনেকের বয়স পার হলেও চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে বড় একটি সংখ্যা নিয়োগের অপেক্ষায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন বলেন, সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য হলেও আমরা নিয়োগ দিতে পারছি না। একটি মহল তাদের নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে প্রার্থীদের নানাভাবে লোভ দেখিয়ে চাঁদা তুলে বিভিন্ন সময় মামলা করে তারা লাভবান হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে