অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের ভৈরব সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

যশোর প্রতিনিধি

অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের ভৈরব সেতু
অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের ভৈরব সেতু। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলেন যশোরের অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের ভৈরব সেতু। আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি মাগুরা ও নারায়ণগঞ্জের আরও দুটি সেতু উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে যোগাযোগব্যবস্থার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এর দ্বারা সচল হয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা। সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

জানা গেছে, উপজেলার ভৈরব নদের পশ্চিম পাশে মশারহাটি এবং পূর্বপাশে দেয়াপাড়া গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে সেতুটি। প্রতিদিন সেতু দেখার জন্য হাজারো মানুষের ঢল নামে।

৭০২ দশমিক ৫৫ দীর্ঘ এবং ৮ দশমিক ১ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সেতুর উভয়পাড়ের ৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে ব্যয় বেড়েছে আরও ৭ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশর অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ভৈরব সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স র্যাংকিং। গত ঈদের পর থেকে এলাকার মানুষ চলাচল করছে। তবে ভারি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার জানান, ২০১৫ সালের জুন মাসে শুরু হয় এই সেতুর নির্মাণ কাজ। জমি অধিগ্রহণের জন্য বিলম্ব না হলে আরও আগে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হতো।

সেতু নির্মাণের ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম জানান, ১৫টি পিলারের (কলাম) ওপর দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের এই সেতুটি। সেতুটি নির্মাণের ফলে দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন।

ভৈরব সেতুর প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভৈরব সেতুটি নির্মাণে দীর্ঘ পাঁচ বছর লাগল। আজ সেতুটির উদ্বোধন হওয়ায় ভালো লাগছে।

জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওয়াদা বাস্তবায়ন হলো। অভয়নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভৈরব সেতু। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন তা বাস্তবায়ন হলো।

তিনি বলেন, অভয়নগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নকে ভৈরব নদ আলাদা করে রেখেছিল। সেতু হওয়ায় এপার-ওপারের মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি হলো।

সেতুর পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দা পৌর কাউন্সিলর শেখ আবদুল ওয়াদুদ জানান, স্বপ্নের ভৈরব সেতুটি হওয়ায় আমাদের পশ্চিম পাড়সহ পূর্ব পাড়ের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ লাঘব হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে