বিশ্বের ৪০টি দেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) দিতে চায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। যার ফলে প্রবাসীরা দেশের বাইরে থেকেও দেশের নানান সুবিধা নিতে পারবেন। এ কার্ড সরবরাহের জন্য প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করতে সেসব দেশে যাবেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
একনেক বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন পায়।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় প্রবাসীদের স্মার্ট এনআইডি কার্ড সরবরাহ করা হবে। যেন বিদেশে তাদের সেবা পাওয়া সহজ হয়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করে ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের ঠিকানায় সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস স্মার্ট এনআইডি কার্ড পৌঁছে দেবে। এই প্রকল্পের আওতায় ১৪ বছরের বেশি বয়সীদের স্মার্ট এনআইডি কার্ড দেয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে ১৪ বছরের বেশি বয়সী ১৭ কোটি ৭৩ লাখের বেশি নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
- আরও পড়ুন >> ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ফরিদুল হক
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রতিষ্ঠা করতে ২০১১ সালে আইডিইএ প্রকল্পের প্রথম পর্ব শুরু হয়। যার ব্যয় ছিল এক হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শেষ করতে কমিশন চার বার সময়সীমা বাড়িয়েছে। এই সময় শেষ হচ্ছে আগামী মাসে। সময় বাড়ায় প্রকল্প ব্যয়ও বেড়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের খরচ এখন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা।
প্রকল্পের প্রথম পর্বে উপজেলা পর্যায়ে প্রায় নয় কোটি ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত কার্ড দেওয়া হয়েছে সাড়ে ছয় কোটি।
সভায় অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।