বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। শীতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধির কথা পূর্বেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য তিনি প্রস্তুত থাকার কথাও বলেছিলেন। আমরা লক্ষ্য করছি শীতের প্রারম্ভেই দেশজুড়ে বেড়ে গেছে করোনার সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমতাবস্থায় মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে রোগী চিহ্নিতকরণ, আইসোলেশন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে কোয়ারেন্টিন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচারণা বাড়ানো এবং স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহায়তার বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। কেননা এগুলো কেবল প্রচার করলেই হবে না। মাস্ক বিতরণ করা, যেসব জায়গায় হাত ধোয়ার মতো সুবিধা নেই, সেখানে এসবের ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা মনে করি, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ’ সামলাতে সংক্রমণের শুরুর দিকে যেসব কাজ করা হয়নি, এখন সেসব করা প্রয়োজন। বিশেষ করে রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে শিক্ষা, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ এনজিওকর্মীদের করোনা মোকাবিলায় সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে রোগী শনাক্তকরণ এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণের কাজে সম্পৃক্ত করলে ভালো ফল আসতে পারে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে মাল্টিসেক্টরাল কর্মসূচি আবারও চালু করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে এই মহামারিকে বিদায় করতে আমাদের ইমিডিয়েটলি প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ যেসমস্ত দেশ করোনার কার্যকর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে সেসব দেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে টিকা সংগ্রহ করা। পাশাপাশি এসব টিকা যেন জনগণের মাঝে দ্রুত সরবরাহ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে সরকার সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন >> শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিন
আরও পড়ুন >> এক বিষ্ময়কর অভিযাত্রার যাত্রী
আরও পড়ুন >>সড়ক দুর্ঘটনাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত