একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ধর্ষককে কঠিন শাস্তি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। নতুন আইনে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ধর্ষককে রাসায়নিক প্রয়োগে ‘খোজাকরণ’ ও ফাঁসির বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার এমন দুটি অধ্যাদেশ অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। শিগগিরই এ আইন কার্যকর হবে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেবিনেট বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৈঠকে ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২০ অনুমোদন হয়। পাকিস্তানের ইতিহাসে ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হলো। ধর্ষণের শিকার নারী বিতর্কিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে নতুন এ অধ্যাদেশে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফারাজ এ বিষয়ে বলেন, ফেডারেল কেবিনেট ধর্ষণবিরোধী দুই অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে। ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং ধর্ষণের সাজা কঠিন করা হয়েছে। গণধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশ এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান সরকার এন্টি রেপ (তদন্ত ও বিচার) অর্ডিন্যান্স ২০২০ এবং পেনাল কোড অর্ডিন্যান্স ২০২০ অনুমোদন দিয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ঘটনা; যেখানে হিজড়া ও গণধর্ষণের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দেশটির মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী শিরীন মাজারি এক টুইটে বলেছেন, এই দুটি অধ্যাদেশ কেবিনেট কমিটি নানা দিক বিচার বিশ্লেষণ করে অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করবে। কয়েক দিনের মধ্যেই অধ্যাদেশ দুটি কার্যকর হবে।