সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সদরদপ্তর। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনায় পুলিশের নয় সদস্যকে বরখাস্ত করা হলো।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন কোতোয়ালী থানার সদ্য বদলি হওয়া ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) সৌমেন মৈত্র, মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল বাতেন ও এএসআই কুতুব আলী। প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহযোগিতা করায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। বরখাস্ত হওয়া বাতেন ও কুতুব আলী এসএমপিতে কর্মরত। আর সৌমেন রংপুর জেলা পুলিশে রয়েছেন।
সম্প্রতি তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে বুধবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের।
গত ১০ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতন করেন এসআই আকবরসহ তার সহযোগীরা। পরদিন সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রায়হান। পরে রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী- নির্যাতনে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া, টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আর রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে আনার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, কুতুব আলী, কনস্টেবল সজীব হোসেনকে।
তদন্ত কমিটি গত ২৫ অক্টোবর পুলিশ প্রধানের কাছে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনের সুপারিশ মোতাবেক ঘটনার দিন কোতোয়ালি থানার ওসির দায়িত্বে থাকা সৌমেন মৈত্রকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তর; পাশাপাশি তাকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
এছাড়া মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া ও বন্দরবাজার ফাঁড়ির প্রত্যাহারকৃত এএসএই কুতুব আলীকে বরখাস্তের জন্য এসএমপি উপকমিশনার (উত্তর) বরাবর নির্দেশনা পাঠানো হয়।
সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল তাদের বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।