কুয়েতে সাংসদ পাপুলের মামলার রায় ২৮ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল
কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। ফাইল ছবি

কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ ও মানবপাচার মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন কুয়েতের একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি শেষে দেশটির অপরাধ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল-ওসমান এই তারিখ ঘোষণা করেন।

universel cardiac hospital

সম্প্রতি মানব ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ কয়েকশ ব্যক্তির তালিকা করে কুয়েত সরকার। সেই তালিকা ধরেই বিতর্কিত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ। সেই অভিযানে গ্রেপ্তার হন সাংসদ পাপুল।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে করা মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হয়।

অনুসন্ধানে কুয়েতের সিআইডি জানতে পারে, কুয়েতে পাপুলের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি কুয়েতে ভিসা বাণিজ্যের নামে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রাপাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত।

সিআইডি কর্মকর্তারা পাঁচ বাংলাদেশিকে জেরা করে জানতে পারেন, তাদের প্রত্যেকেই কুয়েত যেতে পাপুলকে তিন হাজার দিনার করে দিয়েছিলেন। এছাড়া প্রতিবছর তারা ভিসা নবায়নের জন্য তাকে বাড়তি টাকা দেন। তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রাপাচারের অভিযোগ আনেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা এবং তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কুয়েতের পার্লামেন্টের দুই সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর সাংসদ পাপুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মারাফিয়া কুয়েতিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কুয়েত সরকার। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের কয়েকটি চুক্তি ও কাজের আদেশও বাতিল করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য পাপুল সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশেও পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে