বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় ম্যারাডোনা

ক্রীড়া ডেস্ক

ম্যারাডোনা

লাখো ভক্ত সমর্থক সমবেত হয়েছিলেন প্রিয় ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার কফিন স্পর্শের আশায়। সমর্থকদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে আর্জেন্টাইন পুলিশকে। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট প্যালেস কাসা রোসাদার অভিমুখে এক কিলোমিটারের চেয়ে বেশি লম্বা লাইনের ভক্তদের ঠেকাতে পুলিশ এক পর্‍যায়ে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসও ছুড়েছে। শোকাহত সমর্থকদের চোখের কান্নায়ই বিদায় নিয়েছেন ফুটবল ঈশ্বর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের বেল্লা ভিস্তায় বাবা-মায়ের সমাধির পাশেই সমাহিত করা হয় এই ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকে।

দিনভর লাখো ভক্ত পরিবেষ্টিত ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনার শেষকৃত্যে অংশ নিলেন কেবল ২০/২৫ জনের মতো বন্ধু ও স্বজন। একেবারেই পরিজন ঘেরা ছিল সমাহিত করার সেই আয়োজন।

universel cardiac hospital

বিবিসি জানায়, করোনা সংক্রমণের শঙ্কা উপেক্ষা করে লাখো ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন শেষবারের মতো প্রিয় ফুটবলারের কফিন স্পর্শের আশায়। অভ্যাগতদের সবারই চোখে জল, হাতে ফুল। কারো পরনে ছিল ১০ নম্বর জার্সি নয় ম্যারাডোনার ছবি সম্বলিত পোশাক। কেউ দূর থেকেই প্রিয় মানুষটির হাওয়ায় ছুড়ে দিয়েছেন চুমু।

উল্লেখ্য, বুয়েন্স আয়ার্সের বেল্লা ভিস্তায় বাবা-মায়ের সমাধির পাশে সমাহিত করার আগে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস কাসা রোসাদায় ম্যারাডোনার কফিনটি রাখা হয় ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

প্রসঙ্গত, আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা বুধবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ জেতানো এই কিংবদন্তির মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। মাসের শুরুতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয় সাবেক নাপোলি ও বোকা জুনিয়র্স তারকাকে। প্রথম দিকে দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু অ্যালকোহল আসক্তির কারণে নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় অনেক বেশি সময় সেখানে থাকতে হয়। মাত্র ৬০ ‍বছর বয়সে কোটি ফুটবলভক্তকে কাঁদিয়ে অন্য পারের বাসিন্দা হলেন বাঁ পায়ে অসংখ্য মুহূর্তের জন্ম দেয়া ফুটবল ঈশ্বর।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে