ইরানের অন্যতম পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিযাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত বলে মনে করছেন তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে দুই জন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ খবর দিয়েছে আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস।
শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডের কথা আমেরিকা আগে থেকে কতটুকু জানতো তা পরিষ্কার নয় তবে ইসরায়েল ও আমেরিকা নানা বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করে থাকে।’
এছাড়া এ বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমস যোগাযোগ করলেও কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ফাখরিযাদেকে হত্যায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইসরায়েলের লেখক ও সাংবাদিক ইয়োসি মেলম্যানের একটি টুইট রিটুইট করেছেন ট্রাম্প। সেই টুইটে মেলম্যান লিখেছেন, তেহরানের পূর্বদিকে মোহসেন ফখরিজাদেহকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ইরানের গোপন সামরিক কর্মসূচির প্রধান ছিলেন এবং বহু বছর ধরে মোসাদের টার্গেটে ছিলেন। তার মৃত্যু ইরানের জন্য একটি বড় মনস্তাত্ত্বিক এবং পেশাদার আঘাত।’
এছাড়াও ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় মোহসেন ফাখরিজাদেকে তার ভাষায় ইরানের ‘পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি’র কারিগর বলেও দাবি করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালের একটি অনুষ্ঠানে ইরানবিরোধী আলোচনা করতে গিয়ে বিজ্ঞানী ফাখরিযাদের নাম বার বার উল্লেখ করেছিলেন। সেসময় তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘স্মরণ রাখবেন নামটি হচ্ছে ফাখরিজাদে’।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ টুইটবার্তায় বলেছেন, ইরানি পদার্থবিজ্ঞানীর কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং এই ঘটনায় বোঝা যায়, যারা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা নিজেদের অসহায়ত্বের কারণে একটা যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তাদের নির্লজ্জ দ্বৈত নীতি পরিহার করে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।