এমসি কলেজে গণধর্ষণ : ডিএনএ রিপোর্টে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে

সিলেট প্রতিনিধি

এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গণধর্ষণে অভিযুক্তরা
এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গণধর্ষণে অভিযুক্তরা। ছবি : সংগৃহিত

চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের ডিএনএর সঙ্গে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে। তবে আট আসামির ডিএনএ নমুনার মধ্যে পরীক্ষায় কতজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ।

universel cardiac hospital

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ডিএনএ রিপোর্টে আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই চার্জশিট দেয়া হবে এবং বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

গত ১ অক্টোবর ও ৩ অক্টোবর এ মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হয় ঢাকার ল্যাবে। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রথমে আদালতে এসে পৌঁছায়। পরে এ রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তার হাতে আসে।

স্বামীর সাথে ঘুরতে যাওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্তরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় আসামিরা হলো- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

ছাত্রাবাসে গৃহবধূর ওই গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জড়িতদের বিচার দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন-কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে