বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উন্মুক্ত স্থানে নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

বিজয় দিবসে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর (ঘরোয়া) অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে সেজন্য দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

universel cardiac hospital

মঙ্গলবার দুপুরে মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নকল্পে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মহান বিজয় দিবসে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে উত্তোলন করতে হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনির ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাভারে গমনাগমন ও পুষ্পার্ঘ অর্পণকালীন সময়ে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদেশী রাষ্ট্রের কূটনীতিকবৃন্দ (যারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন) তাদের যথাযথ নিরাপত্তা দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায়ও পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে (মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত এবং জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত প্রার্থনা করা হবে। বিজয় দিবসে কারাগার হাসপাতাল বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস সেবায় নিয়োজিত থাকবে। বিজয় দিবস সুষ্ঠুভাবে সম্মেলনের জন্য ঢাকাসহ দেশের সব স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যেকোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তে মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান বন্ধে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে