দ্বিতীয় দফায় দেশের ৬১ পৌরসভায় ভোট ১৬ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌরসভা নির্বাচন
ফাইল ছবি

দ্বিতীয় দফায় দেশের আরও ৬১টি পৌরসভায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি এসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বুধবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এই তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর।

ইসি সচিব জানান, ৬১টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএম এবং ৩২টিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এ সময় এক প্রশ্নের ইসি সচিব জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা করেছে। এখানে তফসিল দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কেবল ভোটের তারিখ ঘোষণা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত হলে ভোটের তারিখ জানানো হবে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট হতে পারে।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই এবার চার ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বর ২৫টি পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়। এবারও দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বড় দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

১৬ জানুয়ারি যে ৬১ পৌরসভায় ভোট

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর (ইভিএম), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও কেন্দুয়া (ইভিএম), কুষ্টিয়ার কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা, মিরপুর ও কুমারখালী (ইভিএম), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, নারায়ণগঞ্জের তারাব (ইভিএম), শরীয়তপুরের শরীয়তপুর (ইভিএম), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধার গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ, দিনাজপুরের দিনাজপুর, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, মাগুরার মাগুরা সদর (ইভিএম), ঢাকার সাভার (ইভিএম), দিনাজপুরের বিরামপুর ও বীরগঞ্জ (ইভিএম), নওগাঁর নজিপুর (ইভিএম), পাবনার ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর (ইভিএম), সাঁথিয়া, ঈশ্বরদী ও সুজানগর, রাজশাহীর কাকনহাট (ইভিএম), আড়ানী (ইভিএম) ও ভবানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া (ইভিএম), নাটোরের নলডাঙ্গা (ইভিএম), গুরুদাসপুর ও গোপালপুর, বগুড়ার সারিয়াকান্দি (ইভিএম) ও শেরপুর, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও বেলকুচি, সুনামগঞ্জের ছাতক ও জগন্নাথপুর (ইভিএম)।

পিরোজপুরের পিরোজপুর (ইভিএম), মেহেরপুরের গাংনী (ইভিএম), ঝিনাইদহের শৈলকুপা (ইভিএম), খাগড়াছড়ি (ইভিএম), বান্দরবানের লামা, নীলফামারীর সৈয়দপুর (ইভিএম), সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জ, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী (ইভিএম), কুমিল্লার চান্দিনা (ইভিএম), ফেনীর দাগনভূঞা (ইভিএম), কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ ও কুলিয়ারচর (ইভিএম), নরসিংদীর মনোহরদী (ইভিএম), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, বগুড়ার সান্তাহার (ইভিএম), নোয়াখালীর বসুরহাট (ইভিএম) ও বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট (ইভিএম)।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে