সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার দায়ের করা মামলায় দুই মাসেরও বেশি সময় পর চার্জশিট দিতে যাচ্ছে পুলিশ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৮জনকে অভিযুক্ত করে এই চার্জশিট আদালতে দাখিল করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হচ্ছে সাইফুর রহমানকে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বুধবার রাতে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আগামীকাল সকালের দিকে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে। এরপর বেলা ১২টায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন না পাওয়ায় চার্জশিট দাখিলে বিলম্ব হচ্ছে। গত রবিবার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টা হাতে পেয়েছে পুলিশ। এতে আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী। অভিযুক্তরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতেই স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে আসামিদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব।
১ ও ৩ অক্টোবর সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে থাকাকালে আসামিদের মধ্যে সাইফুর, তারেক, রনি ও অর্জুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। ধর্ষণে সহায়তার কথা স্বীকার করেন রবিউল ও মাহফুজুর। অন্য দুজনও স্বীকারোক্তি দেন।