ভাস্কর্য নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে : মোজাম্মেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিষয়ে যারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন ও নানারকম হুংকার দিচ্ছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলামের শত্রু।

তাদেরকে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, মূর্তি ও ভাস্কর্য এক জিনিস নয়। বিশ্বের প্রায় সব ইসলামিক রাষ্ট্রে প্রাচীনকাল থেকে ভাস্কর্য রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে গাজীপুর চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধার হাতে রাইফেল ও গ্রেনেড সম্বলিত ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়, যা অদ্যাবধি বিদ্যমান। কিন্তু এখন যেসব ধর্ম ব্যবসায়ী অপশক্তি ভাস্কর্যের বিষয়ে কথা বলছে তাদের উদ্দেশ্য কী?

universel cardiac hospital

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে নাট্যজন আলী যাকের ও ক্রীড়া সংগঠক বাদল রায়ের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী এসময় বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে হক্কানি আলেমদের ইমানি দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ বিষয়ে ইসলামের সঠিক তথ্য সকলকে জানাতে হবে। ইসলামে ভাস্কর্য নিষেধ বা হারাম নয়, ইসলামিক রাষ্ট্র ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে প্রচুর ভাস্কর্য রয়েছে। জনগণকে এই বিষয়টি জানাতে হবে। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।

মোজাম্মেল হক বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে ইসলাম ধর্মকে লিজ দেয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ররঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার টিপু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে