অস্ত্র-মাদক ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গোল্ডেন মনিরকে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৮ দিনের রিমান্ডে গোল্ডেন মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গোল্ডেন মনিরকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পাঁচদিন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এসময় বিচারক বলেন, দুই মামলার রিমান্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে বাড্ডায় থানায় করা র্যাবের তিনটি মামলা গত ২৪ নভেম্বর ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে মামলাটি তদন্ত করছে সংস্থাটি।
গত ২০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গোল্ডেন মনিরের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। রাতভর অভিযানে ৬০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি বিদেশি পিস্তল ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা, বিদেশি মুদ্রা ছাড়াও বিলাসবহুল পাঁচটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে র্যাব। এরমধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে। অপর দুটি অস্ত্র ও মাদক আইনে।
জানা যায়, ৯০ দশকে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন মনির। এরপর শুরু করেন ক্রোকারিজের ব্যবসা। এক পর্যায়ে তিনি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিদেশ থেকে অবৈধভাবে বিপুল স্বর্ণ দেশে আনতেন। উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বিলাস বহুল ছয়তলা বাড়ি গড়ে তোলেন। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুইশর বেশি প্লট ও ৩০টির মতো ফ্ল্যাটের কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন গোল্ডেন মনির।