শতভাগ ব্যক্তিতন্ত্রের ওপর চলছে দেশ : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি

শতভাগ ব্যক্তিতন্ত্রের ওপর দেশ চলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘বিজয়ের এই মাসে আজকের আহ্বান- ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।’

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সম্প্রতি বাউনিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পবিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেনের উদ্যোগে ৭৫টি পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, পাতিল, কড়াই, প্লেট, চামচ, মগ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। এই অবস্থায় দেশের কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজস্ব চিন্তা-ধারা ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে জনগণ কোনো সুফল পায় না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হয়। এই অবস্থার মধ্যে গণতন্ত্র নাই। আমি গণতন্ত্র নাই বলি না, বলি একশ ভাগ ব্যক্তিতন্ত্র। একজন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছায় দেশ চলছে। আমার মনে হয় আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, রক্ত দিয়েছেন আমাদের ভাইরা। জীবন দিয়েছেন আমাদের ভাইরা। সেই স্বাধীনতার মূল চেতনা এই বিজয়ের মাসে গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারটা খুব জরুরি। আজকের আহ্বান ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।

বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি জনগণের দল, সামর্থ অনুযায়ী দলের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ায়। একটা কথা শীত আসলেই এই এলাকার বস্তিতে আগুন লাগে কেন? সরকারকে বলব, অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে গুরুত্ব দিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তদন্ত করে আবিষ্কার করুন।

স্বাধীন দেশের মানুষগুলো কেন এই বস্তিতে থাকবে প্রশ্ন রেখে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, অবিলম্বে এই বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা দেন। এই বস্তিতে যে লোকগুলো থাকেন-এই জমি সরকারি। তাহলে প্রতিমাসে কারা বিনা পুঁজিতে মাসোহারা নেয়? এর সঙ্গে কারা জড়িত? সরকার ইচ্ছে করলেই এদের খুঁজে বের করতে পারে কিন্তু সেই পারার কাজটা সরকার করে না।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কাওছার আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল সাজেদুল আলম টুটুল, বিএনপি নেতা আশরাফ আলী গাজী, মোতালেব, নজরুল ইসলাম নজরুল নজু, জামাল হোসেন বাপ্পি প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে