হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার আগে ডনাল্ড ট্রাম্প আরো একটা বড় সাফল্য পেতে চান। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট মেটানোর নতুন নীতি নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের উদ্যোগে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে একটি প্রাথমিক চুক্তি হতে পারে।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাচ্ছেন আগামী ২০ জানুয়ারি। তার আগে যাতে এই চুক্তি হয়ে যায়, তার জন্য ঝাঁপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর ডয়চে ভেলের
ট্রাম্পের পরামর্শদাতা কুশনার এখন মধ্যপ্রাচ্যে। তিনি গত সপ্তাহে রিয়াধে সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেছেন। বুধবার তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিল হামাদ আল থানির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল বিরোধ মেটানো এবং কাতারের বিমান যাতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপর দিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা।’
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, প্রাথমিক চুক্তি শুধু সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে হবে। আমিরাত, বাহরিন ও মিশর তাতে থাকবে না। এই চার দেশ মিলে কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০১৭-তে কাতারের সঙ্গে তারা কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। বিমান ও জলপথ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
চার দেশের অভিযোগ ছিল, কাতার সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে এবং ইরানের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। কাতার অবশ্য এই সব অভিযোগ খারিজ করে আলোচনায় বসতে চেয়েছে। এই চার দেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য ১৩ দফা দাবি পেশ করেছে। যার মধ্যে আল জাজিরা নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ার দাবিও আছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট হলো, চার দেশ নিষেধাজ্ঞা তোলার শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে। তারা এখন সংকট কাটানোর জন্য আগের তুলনায় অনেক বেশি নমনীয়।
লন্ডনের কিংস কলেজের অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসার অ্যান্ড্রিয়াস ক্রিগ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সৌদি আরব ও কাতার যে প্রাথমিক চুক্তি করতে পারে, এটা খুবই ভালো খবর। তবে বিরোধ মিটতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। চুক্তির ঘোষণা হলে বোঝা যাবে, দুই দেশের নেতারা আত্মবিশ্বাস বাড়াবার জন্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বিরোধ মেটাতে তারা কতটা আগ্রহী।’