মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ছয়জন। অন্যজন অটোরিকশার চালক বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মূলকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) হাসমত উল্লাহ বলেন, বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন গোবিন্দ বাদ্যকর (৩২), তার মেয়ে রাঁধে বাদ্যকর (৪), স্ত্রী ববিতা বাদ্যকর (২৫), বাবা হরে কৃষ্ণ (৫৫), চাচি খুশি বালা (৫০) ও চাচাতো ভাই রামপ্রসাদ বাদ্যকর (৩২)। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায়। আর নিহত অটোরিকশা চালক জামাল শেখের (৩২) বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার সমেতপুর গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকর পাড়ার গোবিন্দ বাদ্যকর তার অসুস্থ মেয়ে রাঁধে বাদ্যকরসহ অন্যদের নিয়ে মানিকগঞ্জে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দৌলতপুর মুলকান্দি এলাকায় তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ভিলেজ লাইনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-১৪৪৭) চাপা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা পরিবারের সবাই নিহত হন। ঘটনাস্থলে খুশি বালা প্রাণ হারান। বাকিদের হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি (তদন্ত) জানান, নিহত ব্যক্তিদের লাশ দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।