যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের স্বাভাবিক লেনদেন ছাড়াই উধাও হয়ে গেছে পাচঁ হাজার কোটি পাউন্ড। ব্যাংক হিসাব থেকে হারিয়ে যাওয়া এই পাচঁ হাজার কোটি পাউন্ড দেশটির মোট ব্যাংক নোটের ৩ ভাগের এক ভাগ। ধারণা করা হচ্ছে, নোটগুলো পাচার হয়ে গেছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন বলছে গেল সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি নজরে আনে দেশটির ন্যাশনাল অডিট অফিস। বিপুল এই অর্থ এখন আর অর্থনীতির স্বাভাবিক হিসাবের খাতায় নেই।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দেশটির একদল আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, হারিয়ে যাওয়া টাকার খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে অর্থ লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি এখনো অস্বীকার করছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
আইনপ্রণেতারা বলছেন, এই অর্থের খোঁজে ব্যাংকটিকে অবশ্যই আরও যত্নবান হতে হবে। কারণ, বিপুল অংকের এই অর্থ অবৈধ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার হতে পারে, যার দায় সরকারের নীতি ও সরকারের কোষাগার এড়াতে পারবে না।
হাউস অব কমনসের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রধান মেগ হিলার বলেন, এই অর্থ হয়তো কোথাও সরিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ ব্যাপারে কিছু জানে না। এমনকি কে বা কারা এটা করেছে বা কেন এই অর্থের স্থানান্তর হয়েছে, সে ব্যাপারে কারও ভেতর তেমন কোনো উদ্বেগও দেখা যাচ্ছে না। নিখোঁজ ৫০ বিলিয়ন পাউন্ডের হিসাব পেতে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, জনসাধারণ কেন নগদ ব্যাংক নোট কাছে রাখতে চান সেটা নিশ্চয়ই ব্যাংককে ব্যাখ্যা করতে হবে না। এর অর্থ এই নয় যে, নোটগুলো হারিয়ে গেছে।
তিনি জানান, ব্যাংকের দায়িত্ব সরকারের চাহিদা মতো অর্থ সরবরাহ করা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং করে যাবে।