বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও হেফাজত নেতা বাবুনগরীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন হয়েছে।
আজ রোববার বিকাল ৩টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (নিরাপত্তা বিভাগ) বরাবর এ আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জিশান মাহমুদ।
ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আমলে নেয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর এ আবেদন করেন জিশান মাহমুদ।
আবেদনে বলা হয়, ১৩ নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুঁড়ে ফেলবেন।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মাহফিলে বলেন, কোনো ভাস্কর্য তৈরি হলে, তা টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া হবে। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে আসছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের রেশ ধরে তাদের অনুসারীরা গত ৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ডান হাত ও পুরো মুখমণ্ডল বা হাতের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলে। যা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অপমানজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং তাদের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিরাগ ও ঘৃণা সৃষ্টির অশুভ অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।
মাওলানা মামুনুল হকরা দণ্ডবিধির ১২৩ক/১২৪ক/৫০৫ ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য মামুনুল হকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা করতে আগ্রহী আইনজীবীরা।