কুষ্টিয়ায় গভীরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ এবং দলটির বিভিন্ন সহযোগী ও বন্ধুপ্রতিম সংগঠন। এতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার ও শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে যুব লীগ, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মৎস্যজীবী লীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা এবং ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা শহর।
প্রতিবাদ সমাবেশে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, তথাকথিত নিরপেক্ষতার নামে ১৯৭১ সালে যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছিল সেই পাকিস্তানের দালালেরা এখনো দেশে আছে। সেইসময়কার দালালেরা এবং তাদের সন্তানেরাই আজকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
ভাস্কর্য বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, একাত্তরে যেমন আমরা তোমাদের সহযোগিতা পাইনি তবু্ও দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। এমনকি তোমাদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই এ পর্যন্ত এসেছি এবং আগামী দিনগুলোতেও এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমাদেরকে তোমাদের সাহায্যের কোনো প্রয়োজন নেই; আল্লাহর সাহায্যের প্রয়োজন এবং আল্লাহ আমাদের পক্ষে আছেন। একাত্তর তারই প্রমাণ।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, তথাকথিত নিরপেক্ষতার নামে সেদিন পাকিস্তান দখলদার বাহিনীকে তোমরা নারী নির্যাতন থেকে শুরু আরম্ভ করে সমস্ত রকমের অপকর্মে যে পরিমাণ সহযোগিতা করেছিলে সেকথা আমরা ভুলি নাই। সুতরাং আস্ফালন করবা না। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ এই তিন ইস্যুর উপর আমরা অনমনীয় এবং দৃঢ়। এই ইস্যুগুলোতে বাড়াবাড়ি করলে আমরা কাউকে ক্ষমা করব না, দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।