আবারও স্থগিত হলো ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ। তবে আগের দুই দিনের মতো ম্যাচের ঠিক আগ মুহূর্তে নয়, এবার একটু আগেভাগেই জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এবার ইংল্যান্ডের দুইজন ক্রিকেটারের করোনা শঙ্কা নিয়ে পিছিয়ে গেল ম্যাচটি।
গত ৪ ডিসেম্বর কেপ টাউনের ম্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ম্যাচের ক’জন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বাকি সবার নিরাপত্তার স্বার্থে স্থগিত করা হয় সেই ম্যাচটি। মাঠে এসেও আবার হোটেলে ফিরে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
কেপ টাউনে ৪ ডিসেম্বরে ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৬ ডিসেম্বরে এবং ভেন্যু পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল পার্লে। তবে সেই ম্যাচটিও মাঠে গড়ায়নি। ম্যাচের দিনই আবার পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় পিছিয়ে যাওয়া প্রথম ম্যাচটিকে।
পরের দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর দেওয়া হয়েছিল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ যেটা অনুষ্ঠিত গওয়ার কথা ছিল কেপ টাউনে। ম্যাচের একদিন আগে এটাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিন তিনটি দিন ঠিক করার পরেও ওয়ানডে সিরিজ মাঠে গড়াল না দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে।
৭ ডিসেম্বরের ম্যাচটি পিছিয়ে যাওয়ার কারণ ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটারের করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে এবং তারা করোনা আক্রান্ত হলেও তা অজানা থেকে গিয়েছে এমন আশঙ্কা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের আবার পরীক্ষা করতে পাঠানো হলেও ফলাফল তখনো হাতে না পাওয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে এবং সেই দুই ক্রিকেটারের ফলাফল হাতে পাওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই বোর্ড একসাথে বসে আলোচনা করে সিরিজের বাকি দুইটি ওয়ানডে ম্যাচের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। তবে কোনো ঝুঁকি নিয়ে যে ম্যাচ আয়োজন হবে না সেটা বলাবাহুল্য।