বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের আবহাওয়া কৃত্রিমভাবে বদলে দিতে চায় চীন। এরই মধ্যে এই প্রযুক্তির পরীক্ষিনিরীক্ষা শুরু করেছে চীনের বিজ্ঞানীরা। দ্রুত গতিতে চলছে কাজ। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তিতে চীন সফল হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েদার মডিফিকেশন সিস্টেমের ওপর কাজ চলছে চীনে। যার মাধ্যমে গোটা দেশের আবহাওয়া বদলে দিতে পারে চীন। ২০২৫ সালের মধ্যে এই সিস্টেমের সাহায্যে ৫.৫ মিলিয়ন স্কোয়ার কিলোমিটার বা ২.১ মিলিয়ন স্কোয়ার মাইল এলাকার আবহাওয়া কৃত্রিমভাবে বদলে ফেলতে পারবে চীন।
চীনের স্টেট কাউন্সিল জানিয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে যুগান্তকারী আবিষ্কার করতে ফেলবে চীন। আবহাওয়া বদলে ফেলার ক্ষমতা যদি চীনের হাতে আসে, তবে তা হবে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। এর ফলে ওই এলাকায় আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষমতা চীনের হাতে থাকবে।
চীনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আগামী পাঁচ বছরে ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত ঘটানো, তুষারপাত তৈরি করা, পরিষ্কার আকাশ রাখার চাবিকাঠি থাকবে বেইজিংয়ের হাতে। এতে উপকৃত হবে চাষাবাদ, ফসল উৎপাদন। বাঁচা যাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জরুরি অবস্থার হাত থেকে। উল্লেখ্য এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজ করছে চীন।
২০০৮ সালে অলিম্পিক আয়োজন করেছিল চীন। সেই সময় আকাশ পরিষ্কার ছিল। চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি তাদের মাধ্যমেই শহরটির আকাশ পরিষ্কার ছিল।
এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্লাউড সিডিং। এই ধরনের সিডেড ক্লাউড ২০০৮ সালে ব্যবহার করেছিল চীন। পরীক্ষা সফল হয়েছিল। বেশ কয়েক দশক ধরেই ক্লাউড সিডিং নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এর মাধ্যমে মেঘের মধ্যে খুব অল্প পরিমাণে সিলভার আয়োডাইড মেশানো হয়। এতে প্রচুর বাষ্প তৈরি হয়। দ্রুত বৃষ্টি নামে। ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে উষ্ণায়ন কমানো সম্ভব।