মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে সাগরপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা, সাড়ে ৯ লাখ কিয়াতসহ (মিয়ানমারের মুদ্রা) মাদক পাচারকারী ৩ মিয়ানমারের নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। টেকনাফের সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে অভিযানে একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মিয়ানমারের আকিয়াবের অন ডাইং এলাকার বাসিন্দা মং সাদুর ছেলে এ থং সা (৬৭), একই গ্ৰামের স্যাং টোয়েং সার ছেলে মং চো অং (৫১) ও পেলিসং এলাকার মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে মোহাম্মদ ইসাহাক (৪৮)।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিরুল হক।
তিনি বলেন, দুদিন ধরে কোস্টগার্ডের কাছে তথ্য ছিল সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের কাছে সাগরপথে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার হবে। তারই সূত্র ধরে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার আমিরুল হক ও সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রেদোয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে যৌথভাবে বিশেষ নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রোববার দিবাগত রাতে মিয়ানমার সীমানা থেকে একটি কাঠের ট্রলার উদ্দেশ্যহীনভাবে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণে বাংলাদেশ জলসীমায় কোনো ধরনের সংকেত বাতি ছাড়াই আসতে দেখা যায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটি থামার সংকেত দেন এবং ধাওয়া করেন।
ধাওয়ার এক পর্যায়ে আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা তিনজন মাঝিসহ ট্রলারটি আটক করে। পরে নৌকা তল্লাশি করে ৯ লাখ ৫১ হাজার কিয়াত (মিয়ানমারের মুদ্রা), তিনটি প্লাস্টিকের বস্তার প্যাকেট থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
- আরও পড়ুন >> আওয়ামী লীগের ৪০ সদস্যের শিক্ষা উপ-কমিটি অনুমোদন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই স্থায়ীভাবে মিয়ানমারের নাগরিক এবং দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে ইয়াবা পাচার করে আসছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিরুল হক বলেন, গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মাদক ও বৈদেশিক নাগরিক আইনে মামলা করে তাদের টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।