‘জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের সময় জিহাদ কোথায় ছিল’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

শাজাহান খান

প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য যখন স্থাপন হয়, তখন জিহাদ কোথায় ছিল- প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বিরোধীতার প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। এই ভাস্কর্য (বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য) বিরোধিতার উদ্দেশ্য কী? যখন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ ও ঢাকার মিন্টু রোডে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন হয়-তখন জিহাদ ঘোষণা করলেন না, কিন্তু যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হলো তখন যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শাজাহান খান বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন- পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে, কেউ পদ্মা সেতু পার হবেন না। আমরা দোয়া করি বেগম জিয়া বেঁচে থাকুন। আপনি যেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে পার হন, সেদিন জিজ্ঞেস করবো- আপনি কথা রক্ষা করছেন না কেন? বিএনপির কোনো নেতা যেন পদ্মা সেতু পার না হয়, আমরা তাদের আহ্বান জানাবো। কেননা আপনাদের নেত্রীর নির্দেশ তো আপনাদের মানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের কথা উনাদের মুখে সাজে না। মুক্তিযুদ্ধের কথা যদি সাজতো তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে তিনি নিশ্চুপ ছিলেন কেন? তিনি কী করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে সমর্থন দিতে পারেন?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র নায়ার কবির।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে