ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপির বর্ণচোরা রাজনীতি জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পত্রিকার পাতায় দেখলাম, বিএনপি ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলতে চায় না। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে যখন প্রতিক্রিয়াশীল চক্র চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তখনও বিএনপি প্রকাশ্যে কথা বলতে চায় না। এতে প্রকারান্তরে বিএনপি তাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানকেই স্পষ্ট করেছে। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী যে রাজনৈতিক বলয় রয়েছে, তার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপির বর্ণচোরা রাজনীতি জাতির কাছে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে।
আজ বুধবার সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা বিএনপি আগেও করেছে, এখনও করছে। ক্ষমতার মোহে বিএনপি নেতারা অন্ধ হয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদ ফ্রাংকেনস্টাইনের দানবের মতো আজ পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন। অপেক্ষা করুন এদের আঘাতে একদিন আপনাদেরও জর্জরিত হতে হবে।
ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে বিএনপি ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ হোক তা মনে মনে বিএনপিও চায় না। রাজনৈতিক কারণেই তাদের কোনো আগ্রহ নেই, কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যে তাদের যোগসাজশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
বিএনপি প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতাকেই সমর্থন দিচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভেতরে ভেতরে উস্কে দিচ্ছে আবার পৃষ্ঠপোষকতাও করছে। সুতরাং বিএনপি মহাসচিব কোন মুখে উগ্রবাদীদের বিরোধিতা করবেন?
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি এখন দুই ধারায় বিভক্ত, একদিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি, অপরদিকে দেশের অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ার গতিকে রুদ্ধ করার রাজনীতি। একদিকে ৭১’ এর অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অপরটি ৪৭’ এর সাম্প্রদায়িক চেতনা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম তৈরির নিরলস প্রয়াস যখন চলছে, তখন চিরাচরিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছিয়ে দেয়ার এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।