আগামী ১৭ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের পরদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। সম্মেলনটি ঢাকার জন্য বেশ গুরুত্ব বহন করছে। কেননা দেশটির সঙ্গে অনেক অমীমাংসিত ইস্যুতে এখনও সমাধানে আসতে পারেনি ঢাকা।
আশা করা হচ্ছে, এই সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তাসহ ছয় নদীর পানি বণ্টনের হিস্যা নিয়ে আলোচনা, এলওসি প্রকল্পের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন, বাণিজ্য সুবিধাসহ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহযোগিতা আলোচনায় স্থান পেতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সম্মেলন নিয়ে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে যেসব বিষয় নিয়ে সম্ভাব্য আলোচনা হতে পারে সে বিষয়ে গুরত্ব দেয়া হয়।
জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় অনেক বিষয়ই থাকবে। বিশেষ করে পানিবণ্টন, সীমান্ত ইস্যু, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় প্রভৃতি।
হাসিনা-মোদির বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং দুই দেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। দুই দেশ যৌথভাবে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হওয়া উদযাপন করবে। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তুতিও চলছে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত সড়কটিকে স্বাধীনতা সড়ক নামকরণের জন্য নয়া দিল্লিকে প্রস্তাব করেছে ঢাকা। প্রস্তাবটি সবুজ সংকেত পেলে হাসিনা-মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ ব্যাপারে ঘোষণা আসতে পারে।