রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের অনুভূতি। সূর্যেরও দেখা মিলছে না খুব একটা। আগামী দুদিন এ অবস্থা চলবে। এর মধ্যেই রোববার থেকে দেশে শুরু হবে শৈত্যপ্রবাহ। কমে যাবে রাতের তাপমাত্রা। আর মাসের শেষ দিকে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাওসার পারভিন এসব তথ্য জানান।
বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশেই কুয়াশার প্রভাব বেড়েছে। আর হিমেল বাতাসও বইছে। তবে, এটা শৈত্য প্রবাহ নয়। এ ব্যাপারে কাওসার পারভিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন একটি ঘূর্ণিঝড় প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প সঞ্চয় করেছে। যা বাতাসের মাধ্যমে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমালয় থেকে বাতাস দেশে প্রবেশ করায় দেশে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই।
কাওসার পারভিন বলেন, বর্তমানে দেশে হাল্কা থেকে মাঝারি আকারের কুয়াশা রয়েছে। আমরা এ অবস্থাকে কুয়াচ্ছন্ন অবস্থা বলি। আগামী রোববার থেকে এ অবস্থা কেটে যাবে এবং শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। এক্ষেত্রে দিনের বেলা সূর্য্যের আলো থাকবে। রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। এ মাসের শেষের দিকে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
শীত মৌসুমের শুরুতে দেশের উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। ২০১৮ সালে কুড়িগ্রামে দেশের সর্বোনিম্ন দুই দশমিক এক ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। চলতি মৌসুমে এই হারে তাপমাত্রা হ্রাসের সম্ভাবনা আছে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাওসার পারভিন বলেন, জানুয়ারিতে তাপমাত্রা কমে আসবে। তবে ২০১৮ সালের মতো রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা এখনো নেই।