চলতি বছরে মার্কিন সাময়িকী টাইমের ‘সেরা ব্যক্তিত্ব’ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় তাদের মনোনীত করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
নিজেদের পছন্দের ব্যাখ্যায় টাইম জানিয়েছে, আমেরিকার ইতিহাসে পরিবর্তন আনায়, বিভাজনের উন্মক্ততার চেয়ে সহানুভূতির শক্তি যে বড়, তা প্রদর্শন করায়, শোকসন্তপ্ত বিশ্বকে নিরাময়ের রূপকল্পের কথা জানানোয় তাদেরকে এবারের সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।
চূড়ান্ত পর্যায়ের আরও তিনজনকে সামনে রেখে এই ডেমোক্র্যাটিক জুটিকে সেরা ব্যক্তিত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীরা, বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউসি, বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৭৮ বছর বয়সী বাইডেন ও ৫৬ বছর বছর বয়সী হ্যারিসের ছবি প্রচ্ছদ করে টাইমের উপশিরোনাম দেয়া হয়েছে, ‘আমেরিকার ইতিহাসে পরিবর্তন’।
প্রকাশনাটি বলছে, তারা দুজনে মিলে আমেরিকাকে সারিয়ে তোলার ও নবায়নের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তারা যা বলেছেন, আমেরিকানরা তা গ্রহণ করেছে।
চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়েছেন বাইডেন। ধনকুবের আবাসন ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ইলেকটোরাল ভোট।
প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থীর চেয়ে ৭০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন বাইডেন। যদিও ট্রাম্প এখনো তার পরাজয় স্বীকার না করে নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ করে আসছে।
একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করায় বাইডেনের প্রশংসা করেছে টাইম। সাময়িকীটি লিখেছে, শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে দলের বিবর্ণ হয়ে যাওয়া শক্তি ফিরিয়ে এনেছেন বাইডেন ও হ্যারিস।
‘বৈচিত্র্যের বিকশিত হতে যাওয়া ভিত্তি, শহুরে তরুণ ভোটারদের আরও জোরদার করেছেন। কলেজ স্নাতক ও নারীসহ ক্ষুব্ধ শহরতলির বাসিন্দাদের তিনি উদ্দীপিত করছেন।’
১৯২৭ সাল থেকে প্রতি বছর সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিত্বকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে আসছে টাইম সাময়িকী। আর সেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন কমলা হ্যারিস।
পারসন অব দ্য ইয়ার ঘোষণার পাশাপাশি টাইম টুইটারে চলতি বছরের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন, দাঙ্গা, কোভিড-১৯ এ ভয়াবহ প্রাণহানি ও আতঙ্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে একটি ভিডিও-ও ছেড়েছে।
ভিডিওতে ধারাভাষ্যকারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সদয় বছর ছিল না। এই বছরটি দুর্বল ও অসুস্থদের শিকার করেছে। অসংখ্য জীবন আর বিশ্বাসের পরীক্ষা নিয়েছে। বছরটি পূর্ণ ছিল বিভক্তি আর তুমুল অরাজকতায়। … কিন্তু এটা এখনও সেই পৃথিবী যেখানে সাহস আছে, আছে সহমর্মিতা ও ভালোবাসা।