আলবেনীয় বংশোদ্ভূত ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহোর বিরুদ্ধে।
২০১৩ সালে এসি মিলান ক্লাবে খেলার সময় সংঘটিত ওই অপরাধ প্রমাণিত হলে ২০১৭ সালে তাকে ৯ বছর জেলের সাজা দেন ইতালির আদালত।
সেই রায়ের পর থেকেই ইতালি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় রবিনহোর। জেলের শাস্তি এড়াতে ইতালিতে গিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রবিনহো।তবে শাস্তি এড়াতে পারলেও ব্রাজিলের ফুটবলেও ঠাঁই হচ্ছে না রবিনহোর।
জঘন্যতম এ অপরাধের কালিমা লেপা ফুটবলারকে রাখতে চায়নি পেলের ক্লাব সান্তোস। এর মধ্যেই ধর্ষণকাণ্ডের জেরে রবিনহোর সঙ্গে করা সব চুক্তি বাতিল করে সান্তোস।
জাতীয় দলের কথা তো ভাবনার বাইরে তার।বলতে গেলে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে জ্বলে ওঠার শুরুতেই ঝরে পড়ল এক তারকা। যদিও শুরু থেকেই নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে আসছেন রবিনহো।
সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর গত অক্টোবরে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রবিনহো লিখেছিলেন- আমি যদি কারও ঝামেলার কারণ হয়ে থাকি, তা হলে আমার চলে যাওয়াই ভালো। এখন আমি ব্যক্তিগত ব্যাপারে মনোযোগ দেব। সান্তোসের সমর্থক এবং যারা আমাকে পছন্দ করেন, তাদের জানাতে চাই- আমি যে নির্দোষ, তা প্রমাণ করে ছাড়ব।
জানা গেছে, শাস্তি কমাতে আপিল করেছিলেন মিলান কোর্টে। জঘন্য এই অপরাধে অভিযুক্তের প্রতি কোনো করুণা হয়নি বিচারকের। ৯ বছর জেলের সাজাই বহাল রেখেছেন মিলানের আদালত।
ক্যারিয়ারের শুরুতে মাঠে এমন সব চমক দেখিয়েছিলেন রবিনহো যে, তাকে পেলের উত্তরসূরি ভাবা হতো। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সুযোগ পান রবিনহো। রিয়ালে ‘১০’ নম্বর জার্সিটাও তার ভাগ্যেই জুটেছিল। কিন্তু নারীসঙ্গের লোভ আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে শেষ হয়ে গেলেন উদীয়মান এ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।
তথ্যসূত্র: ফক্স স্পোর্টস, এএনএসএ