শীতে জবুথবু কুড়িগ্রাম, বাড়ছে দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুয়াশাঘেরা তীব্র শীতের সকাল
ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। এতে চারদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। শীত আর কুয়াশায় চরাঞ্চলবাসীসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে রাস্তায় মানুষের আনা উপস্থিতি খুবই কম। ঠাণ্ডা বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ-শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

universel cardiac hospital

রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলেই শৈত্য প্রবাহ শুরু হবে। চলতি মাসে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছে। কাজ কমে যাওয়ায় তাদের উপার্জন বন্ধের পথে। একইসঙ্গে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র মানুষদের কষ্টও বহুগুণ বেড়ে গেছে।

বিপাকে পড়েছেন জেলার চরাঞ্চল ও নদ-নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী হত-দরিদ্র মানুষ। বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো ও নদীগর্ভে বসতভিটা বিলীন হওয়া মানুষজন খোলা আকাশের নিচে ভুগছেন কনকনে শীতে।

ভূমিহীন আসমা খাতুন বলেন, বন্যায় ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হওয়ায় এখন ধরলা অববাহিকায় অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছি। নদীর পাড়ে খুবই শীত। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকে। একটি শীতবস্ত্রের আশায় বসেছিলেন এই বিধবা নারী।

জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, চলতি শীত মোকাবেলায় হতদরিদ্রের জন্য এক লাখ কম্বল বরাদ্দ চেয়েছে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন শাখা। এরমধ্যে ৩৫ হাজার কম্বল ৯টি উপজেলায় বিতরণ হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয় হতে ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে শীতবস্ত্র কেনার জন্য। শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে ৯হাজার প্যাকেট।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে