এফআর টাওয়ার মামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

এফ আর টাওয়ারে আগুন
এফ আর টাওয়ারে আগুন। ফাইল ছবি

বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির অভিযোগে ভবন মালিক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার ঢাকা মহানগর জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানা যায়।

গত বছরের ২৫ জুন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে চার্জশিটভুক্ত সাত আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন ৫ জনকে আসামি করা হয়।

এই মামলার আসামিরা হলেন, এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, এফআর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটির সভাপতি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর-উল- ইসলাম, সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হককে আসামি করা হয়, বিসিএসআইআরের সদস্য (অর্থ) মুহাম্মদ শওকত আলী ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবদুল্লাহ আল বাকি।

এই মামলায় নতুন চার্জশিটভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- রাজউকের উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক (নকশা জমা গ্রহণকারী) ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী মো. শফিউল্লাহ এবং সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম।

যেই সাতজনকে মামলার চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তারা হলেন-রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কে এ এম হারুন, সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকি এবং গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুর রহমান।

অন্যদিকে মৃত্যুর কারণে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদাকে।

২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর ভবনটির ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় দুদক। এছাড়া রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মান করে অনুনোমোদিত ফ্লোরগুলো বন্ধক ও বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

গেল বছরের ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার পরই বেরিয়ে আসে ভবনটি নির্মাণের নানা অনিয়মের তথ্য। এই অনিয়মের ভিত্তিতে ভবনটির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

শেয়ার করুন