আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিষবৃক্ষের ডালপালা এখনও বিস্তার করে আছে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সমূলে উৎপাটিত করাই হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শপথ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে বিএনপি নেতারা কেন নীরব- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, দলটির নীরবতা পালন করার মূল কারণ হচ্ছে, তারা পেছন থেকে জঙ্গিবাদকে মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।
পরে ওবায়দুল কাদের ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে।
রাতের অন্ধকারে বাসা কিংবা কর্মস্থল থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে তারা শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা। দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে।
সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতি ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ভোরে এসব দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিরপুর ও রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
এছাড়া আলোচনাসভার আয়োজন করেছে অনেক দল ও সংগঠন।