করোনার প্রভাবে এশিয়া-প্যাসিফিকে চাকরিহারা ৮ কোটি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আইএলও

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে আট কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের আয় ও কর্মসংস্থানের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

‘এশিয়া-প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ২০২০’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইএলও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আট কোটি ১০ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের শ্রমবাজারে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোটি কোটি কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। তুলনামূলক হিসাব তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দ্বিতীয় তিন মাসে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমে যায়। পরের তিন মাসে আরও ১০ দশমিক ৭ শতাংশ কমে। ২০১২ সালে যেখানে এই অঞ্চলে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, সেটি এবার বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে।

আইএলওর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারী পরিচালক চিহোকো আসাদা মিয়াকাওয়া বলেছেন, করোনা এ অঞ্চলের শ্রমবাজারের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারগুলো চেষ্টা করলেও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব ও কিছু উদ্যোগের দুর্বলতার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এতে কর্মসংস্থান ও আয়ের ওপর বড় প্রভাব পড়েছে।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা চাকরিহারা হয়েছেন বেশি। তাদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় যা ৩ থেকে ১৮ গুণ বেশি।

আইএলও আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও প্রতিবেদনের শীর্ষ লেখক সারা এল্ডার বলেছেন, বেকারত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তরুণ কর্মীদের নতুন চাকরির প্রতিযোগিতা করা কঠিন হতে পারে। ২০২০ সালের প্রথম তিনটি প্রান্তিকে এশিয়া-প্যাসিফিকে শ্রম আয় প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৩ শতাংশ লোকসানের সমান। আইএলও আশঙ্কা করছে, কমপক্ষে ২২ থেকে ২৫ মিলিয়ন মানুষ শ্রম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে।

শেয়ার করুন