মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত আরও ৬১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) গেজেট জারি করা হয়েছে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীরাঙ্গনারা এ স্বীকৃতি পেলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা দাঁড়াল ৪০০ জনে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্যান্য সব সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
গত ২৯ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ অন্য সহযোগীদের হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য আবেদন আহ্বান করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এনআইডি/যুদ্ধকালীন কমান্ডারের প্রতিবেদন/স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবেদন, যদি থাকে) জমা দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির মতামতসহ তা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গবেষক, নারী সংগঠন, এনজিওর কাছে নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দিয়ে গেজেটভুক্তির কাজে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।