চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের ১১টি জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরগুনা, নড়াইল, বাগেরহাট, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বান্দরবান ও সুনামগঞ্জ- এই ১১ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি মো. মামুনুর রশিদকে কক্সবাজার এবং বরগুনার ডিসি মুস্তাইন বিল্লাহকে নারায়ণগঞ্জের ডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে চট্টগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) হাবিবুর রহমানকে বরগুনা, জননিরাপত্তা বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে নড়াইল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব এ এন এম ফয়জুল হককে বাগেরহাটের ডিসি করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব অঞ্জনা খান মজলিস চাঁদপুর, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দকে লক্ষ্মীপুর, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) জসিম উদ্দিন হায়দার বরিশাল, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপসচিব) ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি বান্দরবান এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
অপরদিকে চাঁদপুরের ডিসি মো. মাজেদুর রহমান খানকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব, বান্দরবানের ডিসি মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব এবং চট্টগ্রামের ডিসি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের ডিসি অঞ্জন চন্দ্র পাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, কক্সবাজারের ডিসি মো. কামাল হোসেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব এবং নারায়ণগঞ্জের ডিসি মো. জসিম উদ্দিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব হয়েছেন।
বরিশালের ডিসি এম এম অজিয়ার রহমানকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, নড়াইলের ডিসি আঞ্জুমান আরাকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব এবং সুনামগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। জেলা পর্যায়ে তারাই সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ডিসিরা জেলার সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো তদারক করেন। এছাড়া সরকারের বিশেষ কর্মসূচি এবং চলমান উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসক তদারকি করেন।