কানাডার বেগম পাড়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের সঙ্গে শতাধিক ব্যক্তি জড়িত এবং পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে পাচারকৃত এই টাকা ও ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করে দুদক। দুদক ছাড়া আরও চারটি সংস্থা এমন প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন আদালতে।
রিপোর্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অর্থপাচারের তথ্য দিতে সব মিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা রিপোর্ট দিলে তা আদালতে দাখিল করা হবে। আর কানাডার বেগম পাড়ায় অর্থপাচারের বিষয়ে সে দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, হিসেবে করেছি। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, এখানে শতাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন এবং প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো লন্ডারিং। তবে, এই টাকাটাই শেষ না। কারণ যে মামলাগুলো ইনকোয়ারি এবং ইনভেস্টিগেশনে আছে সেখানে টাকার পরিমাণ, মানুষের পরিমাণ অনেক বেড়ে যেতে পারে। তবে আজকে পর্যন্ত যে তথ্য-উপাত্ত আমরা আদালতে দাখিল করেছি তাতে আমার হিসেবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং শতাধিক ব্যক্তি এখানে জড়িত।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সম্রাটসহ সাতজন এবং এক হ্যাকারসহ আটজনের অর্থপাচারের তথ্য দাখিল করেছে তারা। এছাড়া এনবিআরও রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর সেটি আমলে নিয়ে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থপাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চেয়েছেন। আজকের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) কানাডার বেগমপাড়ায় অর্থপাচারকারীদের তালিকার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরসহ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।