দেশ স্বাধীনের দুদিন পর হানাদার মুক্ত হয় নওগাঁ

নওগাঁ প্রতিনিধি

দেশ স্বাধীনের দুদিন পর হানাদার মুক্ত হয় নওগাঁ
ফাইল ছবি

দেশ স্বাধীনের দুই দিন পর নওগাঁকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে ১৮ ডিসেম্বর নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। এদিন প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।

জানা যায়, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, হিলি, নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও নাটোর ছিল ইপিআর ৭ নম্বর সেক্টরের অধীনে। অধিনায়ক ছিলেন- প্রথম দিকে ক্যাপ্টেন গিয়াস, পরবর্তী সময়ে মেজর নাজমুল হক এবং তার মৃত্যুর পর মেজর নুরুজ্জামান।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মরহুম আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ পরিকল্পনা রচনা, তাদের ব্যয়ভার বহন ও রসদপত্র সরবরাহের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক ও সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নওগাঁর দু’জন কৃতিসন্তান জালাল হোসেন চৌধুরী ও আখতার আহমেদ সিদ্দিককে সিএন্ডসি স্পেশাল প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

১৮ মার্চ কমান্ডিং অফিসার ছিলেন পাঞ্জাবী মেজর আকরাম বেগ। দু’জন ক্যাপ্টেনের মধ্যে একজন ছিলেন পাঞ্জাবী নাভেদ আফজাল, অন্যজন বাঙালি ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন। ২৫ মার্চের আগে বাঙালি মেজর নাজমুল হক নওগাঁয় ইপিআরের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে বদলি হয়ে আসেন। কিন্তু দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে তাকে চার্জ বুঝিয়ে দিতে অসম্মত হয়।

তবে কৌশলে ২৪ মার্চ মেজর আকরাম বেগ, ক্যাপ্টেন নাভেদ আফজাল এবং পশ্চিম পাঞ্জাবের ঝিলামের অধিবাসী নওগাঁ মহকুমা প্রশাসক নিসারুল হামিদকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা বন্দি অবস্থায় স্বপরিবারে নিহত হন।

শেয়ার করুন