করোনায় আরও ২৫ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১২৬৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
ফাইল ছবি

সারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। ২৫ জনের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ২৪২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৪টি। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৬৭ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনে।

universel cardiac hospital

আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১০ দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক শূন্য ২০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন ও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ জন রয়েছেন।

২৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে চারজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় দুইজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন রয়েছেন।

দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৮৭ জন সুস্থ হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন।

গতকাল শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে শনাক্ত হন ১ হাজার ৩১৮ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।

শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। কিন্তু গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল।

মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। শীতের কারণে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

শেয়ার করুন