রাজশাহীতে ফারজানা তাসনিম সিমরান (২০) নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার ঘটেছে। এ ঘটনায় এক তরুণীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা শনিবার রাতে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ হামলায় অভিযুক্ত এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানার টিকাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সিমরান বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত ছাত্রী ফারজানা তাসনিম সিমরান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিবিজনেস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানার টিকাপাড়া এলাকার মৃত আলতাফ হোসেনের মেয়ে।
এদিকে অভিযুক্ত ঝর্না মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার টিকাপাড়া মিরেরচক এলাকার বাসিন্দা। তার মা জরিনা বেগম ভুক্তভোগীর বাড়ির গৃহকর্মী।
ভুক্তভোগীর মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দুপুরে ঝর্না আমাদের বাড়িতে আসে। এসময় আমার মেয়ে সিমরান তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বাড়ির দরজার তালা খুলে বের হচ্ছিল। হঠাৎ দেখি আমার মেয়ের মাথার চুল ধরে জোরে টান দিয়ে ঝর্না একটি বটি দিয়ে বুকের বাম পাশে সজোরে আঘাত করে। সিমরানের চিৎকারে ঝর্না বাড়ির দরজা খুলে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে হামলায় ব্যবহৃত বটিসহ একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে কী কারণে সে হামলা চালিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার এএসআই শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঝর্নাকে আটক করা হয়। সে অসুস্থ হওয়ায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।