বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রমকে শোকজ করা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুযোগ পেলেই বিএনপি তাদের যেকোনো নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলতে পারে। বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে তার দপ্তরে সমসাময়িক বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুখে বলে তাদের দলে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি! অথচ এই দলে একজন খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা ও ভাইস চেয়ারম্যানকে সত্য বলার অপরাধে অপমানকরভাবে শোকজ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর দেখেছি। এর মাধ্যমে দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর আচরণই ফুটে উঠে।
মেজর হাফিজকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, দলের ভেতরের একটি মহল বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে। এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়েছে, দলীয়ভাবে তারা ভাস্কর্যের অবমাননাসহ দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে এবং অপকর্মের ইন্ধন জোগাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান যখন দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ আনেন, তখন সেই দলের কর্মী ও জনগণের কাছে দলীয় নেতৃত্বের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, তেমনি বিএনপিও তাদের অপরাজনীতি এখন আর ঢেকে রাখতে পারছে না। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন এবং তাদের নেতৃত্ব বহুধাবিভক্ত।
তিনি বলেন, অতীতেও বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা বলা হলেও অনেকেই বিশ্বাস করেননি। এখন একজন সিনিয়র নেতা যখন বলছেন, তখন এ সত্যকে তারা কী করে অস্বীকার করবে? এজন্যই তারা নির্বাচন ও আন্দোলনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
আওয়ামী লী সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বিএনপি আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক। যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারিদের সঙ্গে গোপন সখ্যতা রাখায় তারা ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।