ভারতে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে চলমান কৃষক আন্দোলন ২৫ দিনে গড়িয়েছে। এ সময়ে ৩৩ জন কৃষক মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা (একেএস)। এছাড়া বেশ কয়েকজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করা কৃষকদের স্মরণে ভারতজুড়ে আজ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালনের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
একেএস নেতৃবৃন্দ বলছেন, ভারতের অন্তত এক লক্ষ গ্রামে এই শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করা হবে। রোববার (২০ ডিসেম্বর) ভারতের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মৃত কৃষকদের স্মরণসভা, মানববন্ধন, কৃষি আইনবিরোধী প্রচার এবং প্রার্থনা।
কৃষক আন্দোলন চতুর্থ সপ্তাহে গড়ালেও সুরাহা করতে পারছে না বিজেপি সরকার। সরকারের আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয় কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিলে অনড় অবস্থানে তারা।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশটির কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, ‘সরকার ন্যূনতম সমর্থন মূল্য নিয়ে লিখিত আশ্বাস দিতে রাজি।’ আর পশ্চিমবঙ্গের সভা থেকে অমিত শাহ বলেছেন, তার বিশ্বাস, কৃষকরা দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের কাছে হাতজোড় করে আলোচনা বসতে অনুরোধ করেছিলেন।
তবে কৃষকরা বলছেন, মোদি সরকার যে আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছে, তাতে লাভ হবে না। সরকার বৈঠকে যুক্তিনির্ভর আলোচনা করতে রাজি নয়।
এদিকে কৃষকদের আন্দোলনের মধ্যেই আবার রাজনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ভারতের লোকতান্ত্রিক পার্টির (আরএলপি) নেতা হনুমান প্রসাদ বেনিওয়াল কৃষি আইনের প্রতিবাদে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।