পুরানো শত্রুর জালে রেড ডেভিলদের গোল উৎসব

ক্রীড়া ডেস্ক

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিডস ইউনাইটেড

পুরনো শত্রুতাটা আবারও উস্কে দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিডস ইউনাইটেডকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে রেড ডেভিলরা। জোড়া গোল করেছেন ম্যাকটোমিনে আর ব্রুনো ফার্নান্দেস। আর এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এলো সোলশায়ার শিষ্যরা।

প্রিমিয়ার লিগে দেখা ১৬ বছর পর। বদলেছে মাঠের সৈনিক আর সেনাধ্যক্ষও। তবে ধূসর ছাইয়ের নিচে পুরনো দুশমনিটা এখনও গনগনে। থিয়েটার অব ড্রিমসে লিডসের জালে তিন মিনিটে দুই গোল যেন তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। যার প্রথমটা এসেছে ম্যাচের ৬৭ সেকেন্ডে। ফার্নান্দেসের পাসটা ডি-বক্সের ডানপ্রান্তে পেয়েছিলেন স্কট ম্যাকটমিনে। ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শটের জবাব দেয়ার সাধ্য ছিল কার!
পরের মিনিটে তো ইতিহাসে নিজের নামটা খোদাই করে নিলেন স্কট। ইপিএলে সবচেয়ে কম সময়ে জোড়া পূরণের রেকর্ড করলেন এই স্কটিশ। অ্যাসিস্টে দলের বড় নাম মার্শিয়াল।

universel cardiac hospital

যারা ভাবছেন ম্যাচটা ম্যাড়মেড়ে হতে যাচ্ছে, তাদের জন্য সমবেদনা। ম্যাচ জুড়ে গোল মুখে ইউনাইটেডের ২৬ শটের বিপরীতে ১৭ বার গোলা ছুড়েছে লিডস। পরিসংখ্যানটাই জানান দেয় একপেশে ছিলোনা ওল্ড ট্রাফোর্ডের রাতটা। পাতাটা উলটে রেখে, আবারও খেলায় ফেরা যাক।

ম্যাচের ১৯ মিনিটে ব্যামফোর্ড অফসাইডে না থাকলে লড়াইটা আরও জমতে পারতো। পরের মিনিটে সে সম্ভাবনা আরও দমিয়ে দেন ফার্নান্দেস। মার্শিয়ালের শট আটকে গেলেও জালের ঠিকানায় পৌঁছোতে ভুল করেনি এই পর্তুগিজের শট।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩৭ মিনিটে হালিটা পূরণ করেন লিন্ডেলভ। এবারও নেপথ্যের কারিগর মার্শিয়াল। তবে স্কোর লাইনে লিডসকে আত্মবিশ্বাসের খরকুটো এনে দেন কোম্যান কুপার। যদিও টপফ্লাইটে ৪৮২ ম্যাচে প্রথমবারের মতো চার গোল হজম করে বিরতিতে যেতে হয়েছে পিককদের।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া লিডস ইউনাইটেড। ৫০ মিনিটে রাফিনিয়ার নেওয়া শটটা দূর্বার। তবে দুর্ভেদ্য ডে হিয়া আরও দুর্দান্ত। গোলবারর নিচে ঠিক উলটো চিত্র দ্য হোয়াইটসের। ৬৬ মিনিটে জেমসের গোলটা অন্তত তাই বলে। গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক ব্যবধান বাড়ে আরও একবার।

৭০ মিনিটে স্পট-কিক থেকে ফার্নান্দেসের জোড়া পূরণ। তবে ম্যাচের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন গোলটা হেরে যাওয়া দলের। ৭৩ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডালাসের গতিময় বাঁকানো শট। গোলরক্ষকের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যদিও তা কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে।
কাভানি আর জেমসের শটগুলোকে রুখে না দিলে হয়তো ব্যবধান আরও বাড়ত। অবশ্য পুরনো শত্রুদের ৬-২ গোলের হারানোটাই বা কম কি।

শেয়ার করুন