হাফিজ-শওকত মাহমুদ ইস্যুতে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নোটিশ পাওয়া বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদের বিষয়ে এখনো দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান সবাই দলে আছেন। কোথাও যাওয়ার কোনো সমস্যা তো হয়নি। সেই ধরনের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদের লিখিত জবাবে বিভিন্ন অভিযোগ ও সুপারিশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনো আলোচনা করিনি এবং কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার আগে আপনারা এমন লাফালাফি করছেন মনে হয় যেন সবকিছু চলে যাচ্ছে, এটাতেই গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে।

দল সুসংগঠিত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এখনো অত্যন্ত সুসংগঠিত। একটা কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে বিএনপি একটা বৃহৎ দল। এ ধরনের উদারপন্থী, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে ছোটখাটো দু-একটা ঘটনা কোনো ঘটনাই নয়। এটাকে এত বড় করে যারা দেখছেন তারা আমার মনে হয় ঠিকভাবে দেখছেন না।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উনার (মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ) বিষয়ে আমরা কি পাল্টা কিছু বলেছি। উনার বক্তব্যে উনি যা বলেছেন, তা আমি দেখেছি। দলের যে বিধান আছে, স্থায়ী কমিটির …। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটা রাজনৈতিক দলের উচ্চপর্য়ায়ের নেতা নিঃসন্দেহে এ বিষয়টি প্রেসের কাছে আসবেই, আপনারা কনসার্ন হবেন। ভারতে ২২ জন্য কংগ্রেস শীর্ষনেতা ওপেন চিঠি দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীকে। কই তারা তো কেউ বহিষ্কার হননি। দ্যাট ইজ দ্য প্র্যাকটিস অব ডেমোক্রেটিক পার্টি। কখনো হবে, কখনো হবে না- এটা নিয়ে এত মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই।

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, দলে গণতন্ত্র আছে বলেই তো বিএনপি এখন পর্যন্ত এত অটুট আছে, একেবারে সুদৃঢ়ভাবে ঐক্যকদ্ধ আছে।

তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) মেজর হাফিজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে, নাশকতার মামলা করেছে, বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয়ার মামলা করেছে। একটা নয় ১০টা মামলা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মুখে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কথা বলা শোভা পায় না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে তারা সম্মান দিয়েছে? তারা কি জিয়াউর রহমানকে সম্মান দিয়েছে? তারা কি তাজউদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী) সাহেবকে সম্মান দিয়েছে? তারা দেয়নি। তারা কি এমএজি ওসমানীর (মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক) একবারও স্মরণ করে। একে খন্দকার সাহেবকে বের করে দিয়েছে, এখন উনি মুখবধির হয়ে গেছেন, একেবারে কথা বলা বন্ধ, চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছে উনার। এটা আমি কয়েকটা বললাম। আমরাও তো মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। আমাদের বিরুদ্ধে ৮৬টা মামলা।

মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের একজন। কারণ উনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে যেদিন জিয়াউর রহমান সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তারপর থেকে মুক্তিযুদ্ধ করছেন, দুইটা শিশুকে নিয়ে লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। তারপর কারাভোগ করেছেন এখনো।

শেয়ার করুন