দুই বছরের মধ্যে চতুর্থবার ভোট হতে চলেছে ইসরায়েলে। মঙ্গলবার পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী মার্চ মাসে ফের নির্বাচন হবে দেশে। সমস্যার মূলে বাজেট। প্রধানমন্ত্রী সময়ের মধ্যে বাজেট পেশ করতে পারেননি। ফলে পার্লামেন্ট নতুন ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়।
সব ঠিক থাকলে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভোট হবে ইসরায়েলে। এখন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যে সরকার রয়েছে ইসরায়েলে তার প্রধান শরিক ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি। এই দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দল লিকুদের বরাবরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের
গত বছর এপ্রিলে বহু বিতর্কের পর এই দুইটি দল একসঙ্গে জোট সরকার গঠন করেছিল। ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনি গ্যানটজ। ইসরায়েলের রাজনীতিতে তিনি নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচক বলেই পরিচিত। তবু তিনি জোটে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে। ঠিক হয়েছিল, ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
কিন্তু এ বারের বাজেট অধিবেশনে সুর কেটে যায়। গ্যানটজ চেয়েছিলেন ২০২০-২১ সালের বাজেট পেশ করুন নেতানিয়াহু। কিন্তু নেতানিয়াহু কেবলমাত্র ২০২০ সালের বাজেট পেশ করতে রাজি ছিলেন। তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত দুইটি দলই পার্লামেন্টে একটি বিল নিয়ে আসে। যা তাদের বাজেট পেশ করার জন্য আরো সময় দেবে। কিন্তু পার্লামেন্ট তা খারিজ করে দেয়। ফলে ফের নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মার্চ মাসে নির্বাচন হলে তা নেতানিয়াহুর পক্ষে যথেষ্ট চিন্তার। এখনো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে। ফেব্রুয়ারিতে বিচার শুরু হবে। অন্য দিকে, নেতানিয়াহুর সবচেয়ে বড় সহায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আর প্রেসিডেন্ট থাকবেন না। তারই মধ্যে করোনাকালে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোর গলদ সামনে চলে এসেছে। সব মিলিয়ে নেতানিয়াহুর অবস্থা খুব ভালো নয়।