সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন ১৯৫৪ সালের ১৮ জানুয়ারি পটুয়াখালীর গলাচিপায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হযেছিল ৬৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় শেখ হাসিনা দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় আ খ ম জাহাঙ্গীরে সংগ্রাম এবং সাংগঠনিক দক্ষতার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসাইনের মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল।”
প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মিরপুর-১ মাজার রোডের প্রিয়াঙ্গণ হাউজিংয়ের বাসভবনে মরহুমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে তার নিজ এলাকা পটুয়াখালীতে নেওয়ার পর বেলা ১২টায় দশমিনা কলেজ মাঠে দ্বিতীয়, বাদ জুম্মা গলাচিপা হাইস্কুল মাঠে তৃতীয় এবং বাদ আছর চর চন্দ্রাইল মোহাম্মদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে চতুর্থ ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে চর চন্দ্রাইল কবরস্থানে বাবা ও মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।
- আরও পড়ুন >> আ খ ম জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরীর শোক
উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের চরচন্দ্রাইল গ্রামে জন্ম নেওয়া আখম জাহাঙ্গীর হোসাইনের রয়েছে দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। স্বাধীনতার আগে গলাচিপা মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে যুক্ত হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে যুক্ত হন।
তিনি ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রতিবাদে সংগঠিত বিভিন্ন মিছিল আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮১-৮৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে আওয়ামী লীগ থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪ সালে মনোনয়ন পেয়ে প্রতিবারই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালের সরকারে বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন না পেলেও তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছিল।