বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির জন্য লিখিত পরীক্ষা হওয়া ৯ কেন্দ্রের পাঁচটির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বহাল রাখা হয়েছে বাকি চার কেন্দ্রের পরীক্ষার কার্যক্রম। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে পরবর্তী পরীক্ষাসমূহে তাদের নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভা শেষে বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি কেন্দ্রের পরীক্ষার কার্যক্রম বহাল রাখা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো-আজিমপুর গার্লস কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ। অপর পাঁচটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সংঘটিত হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো-মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মহানগর মহিলা কলেজ। এই পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা যত দ্রুত সম্ভব নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব পরিক্ষার্থী গোলযোগ করে পরীক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করাসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরীক্ষা গ্রহণে বাধা দেওয়া, সাধারণ শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নিগৃহীত করে জোরপূর্বক উত্তরপত্র বিনষ্ট করা এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে পরীক্ষা কেন্দ্র ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেছে, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ বার কাউন্সিলের পরবর্তী পরীক্ষাসমূহে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হবে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কঠিন প্রশ্নের আসার অজুহাতে ওই দিন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি দল পরীক্ষার কেন্দ্রে কেন্দ্রে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় তারা পরীক্ষার্থীদের খাতাপত্র টেনে ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়। তাণ্ডবের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষা পণ্ড হয়ে যায়।
রাজধানীর নয়টি কেন্দ্রে ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এতে প্রায় ১৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।